আগরতলা, ৭ মে : বুধবার সন্ধ্যায় আগরতলার গোর্খাবস্তীস্থিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে রাজ্য সরকার কর্তৃক স্বীকৃত আগরতলার জ্যাকশন গেইটস্থিত ত্রিপুরা সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের এক প্রতিনিধি দল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধিকর্তা অধ্যাপক ডাঃ তপন মজুমদার নিকট নয় দফা দাবীতে ডেপুটেশনে মিলিত হয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন। ত্রিপুরা সড়ক পরিবহন নিগমের ভাইস চেয়ারম্যান তথা ত্রিপুরা সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের মহাসচিব সমর রায়, ত্রিপুরা সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি সঞ্জীব চক্রবর্তী, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সুভাষ সূত্রধর ও কোষাধক্ষ্য মৃনাল চক্রবর্তী, অল ত্রিপুরা এমপ্লয়ীজ ফেডারেশনের মহাসচিব দীপক দাস, ত্রিপুরা এমপ্লয়ীজ একশন কমিটির সভাপতি বিশ্বজিৎ দেব, ত্রিপুরা সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন অনুমোদিত ত্রিপুরা স্বাস্থ্য বিভাগীয় কর্মচারী সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান মদন দেববর্মা, সভাপতি দেবব্রত ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক অশোক দেব, কোষাধক্ষ্য সুজিত শর্মা সহ ফেডারেশন নেতৃত্ব- আনন্দ দাস, কিশোর ঘোষ, রতন শর্মা শুভংকর ঘোষ প্রমুখ ডেপুটেশনের প্রতিনিধিদলে উপস্থিত ছিলেন। ডেপুটেশন পর্বে স্বাস্থা দপ্তরে কর্মরত সর্বস্তরের কর্মচারী ও রাজোর জণগনের সার্বিক স্বার্থে ফেডারেশনের স্মারকলিপিতে উল্লেখিত নয় দাবী দাওয়া নিয়ে স্বাস্থ্য অধিকর্তা মহোদয়েরর সাথে সৌহার্দাপূর্ণ পরিবেশে প্রতিনিধিদলের বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং তিনি দাবী গুলি বাস্তবায়নে যথাযত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। ফেডারেশনের নয় দফা দাবী সমূহ হচ্ছে যথাক্রমে, স্বাস্থ্য দপ্তরের সকল হাসপাতাল সমূহে প্রয়োজন ভিত্তিক নার্সিং অফিসার ও প্যারাম্যাডিকেল স্টাফ নিয়োগ। দপ্তরের সকল স্টেইট হাসপাতাল, ডিসট্রিকট হাসপাতাল, ইনস্টিটিউট ও সিএমও অফিস গুলিতে মিনিসটেরিয়েল স্টাফ প্রয়োজন ভিত্তিক নিয়োগ এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক সর্বস্তরের কর্মচারী স্বল্পতা দূরীকরণ। দপ্তরের সকল শূন্যপদ পুরণে পদক্ষেপ গ্রহন। সকল উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যথাযত পরিষেবা প্রদানে এম.পি.ডব্লিও এবং এ.এন.এম-র শূন্য পদ পুরণ। সকল হাসপাতালে এডভান্স লাইফ সাপোর্ট এম্বুলেন্স প্রদান। এড-হক প্রমোশন প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন। দপ্তরে কর্মরত যে সকল গ্রুপ-ডি কর্মচারীদের ড্রাইভিং লাইসেন্স সহ গাড়ী চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাদের মধ্য থেকে দপ্তরের ড্রাইভারের শূন্য পদ পুরণ। দপ্তরের বিভিন্ন শাখায় গ্রুপ-ডি কর্মচারীর স্বল্পতা দূরীকরণে মালটি টাসকিং স্টাফ নিয়োগ। স্বাস্থ্য দপ্তরে কর্মরত সর্বস্তরের অনিয়মিত কর্মচারীদের চাকুরীতে নিয়মিত করণের পদক্ষেপ গ্রহন। এছাড়াও আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে উপ-অধিকর্তা তথা হেড অফ অফিস ডাঃ রাজেশ অনিল আচার্য মহোদয়ের স্বার্থেও ত্রিপুরা সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের প্রতিনিধিদল এক সৌজন্য মূলক সাক্ষাৎকারে মিলিত হয়।
0 মন্তব্যসমূহ