Advertisement

Responsive Advertisement

আসন্ন নির্বাচনে রেকর্ড ভোটে বিজয়ী হবেন ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থীরা: মুখ্যমন্ত্রী



আগরতলা, ২৯ মার্চ: ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকারের অন্যতম লক্ষ্য সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে সরকারে থাকা। প্রতিটি মানুষের সার্বিক কল্যাণকেই এই সরকার অন্যতম অগ্রাধিকার দিয়েছে। আগে সমস্যা তৈরির মাধ্যমে সরকার চালিয়েছে তারা। রাজ্যে বর্তমানে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও খুবই ভালো জায়গায় রয়েছে। সর্বভারতীয় রেকর্ডে দেশের ২৮টি প্রদেশের মধ্যে আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থার দিক দিয়ে নিচের দিকে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ত্রিপুরা। যা গত বছরও পঞ্চম স্থানে ছিল। মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রেকর্ড ভোটে বিজয়ী হবেন ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থীরা। 
                    শুক্রবার মান্দাইয়ে পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেবের সমর্থনে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। এরআগে পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনে ভারতীয় জনতা পার্টির জয়ের সংকল্প নিয়ে জিরানিয়া ব্রিজ চৌমুহনী এলাকা থেকে একটি বাইক র‍্যালীতে অংশগ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী, বিজেপি প্রদেশ সভাপতি সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। 
                      সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা অবলুপ্ত করেছেন। আর এটাকে সম্মান জানিয়ে আসন্ন নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির জয়ের টার্গেট রেখেছেন ৩৭০। তিনি বলছেন ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে যারা সহযোগী দল রয়েছে তাদের নিয়ে আসন সংখ্যা ৪০০ - এর উপর হবে। লোকসভায় ভারতীয় জনতা পার্টির আসন ৩০৩ ছিল। আর এবার প্রধানমন্ত্রী যে টার্গেট দিয়ে রেখেছেন সেই ৪০০ - এর উপর আসন সংখ্যা হবে। রাজ্যে বিরোধীরা প্রায় সময় বলেন এখানে আইন শৃঙ্খলা ঠিক নয়। কিন্তু সর্বভারতীয় রেকর্ডে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে দেশের ২৮টি প্রদেশের মধ্যে গত বছর ত্রিপুরা ছিল পঞ্চম স্থানে। আর এবার হয়েছে তৃতীয়। ২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচন একেবারে শান্তিপূর্নভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অথচ একটা সময় ছিল ত্রিপুরার নির্বাচন মানেই হৈ চৈ, গণ্ডগোল, বোমাবাজি, খুন, সন্ত্রাস। কিন্তু ২৩ এর নির্বাচন কোনোরকম গণ্ডগোল বা অঘটন ছাড়া শান্তিতে শেষ হয়েছে। এমনকি বক্সনগর ও ধনপুরের উপনির্বাচনও একেবারে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে। অতীতের নির্বাচন নিয়ে কমিউনিস্টদের তীব্র সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। 
                         সভায় মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকার রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর মানুষকে বিভিন্ন সামাজিক ভাতা প্রদান করছে। আগে সেই সামাজিক ভাতা ছিল মাত্র ৭০০ টাকা। এরপর সেই পরিমাণ বাড়িয়ে ১ হাজার টাকা করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে আরো ১ হাজার বাড়িয়ে মোট ২ হাজার টাকা করা হয়েছে। যা দেশের অন্য কোন রাজ্যে সামাজিক ভাতা ২ হাজার টাকা দেওয়া হয় না। বিভিন্ন সময়ে অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় বসলে তারাও জানতে চান কিভাবে আমরা এত টাকা সামাজিক ভাতা দিচ্ছি। এই সরকার মানুষের সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে তাদের পাশে থাকতে চায়। এই সরকার মহিলাদের জন্য চাকরি ক্ষেত্রে ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও মহিলাদের স্বশক্তিকরনে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। সংসদীয় নির্বাচনেও মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে দ্রুত উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যে আগে সরকারি কর্মচারীদের দিয়ে শুধু জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ করানো হতো। তারপরে ১ শতাংশ ডিএ দেওয়া হতো। আর ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বে রাজ্যে সরকার প্রতিষ্ঠিত হতেই ৩ শতাংশ ডিএ দেওয়া হয়েছে। এখন সবমিলিয়ে ২৫ শতাংশ ডিএ প্রদান করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুধু মুখে গ্যারান্টির কথা বলেন না। কাজের মাধ্যমে সেটা করে দেখান। 
                             মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, রাজ্যে ব্রু রিয়াং শরণার্থীদের কত সমস্যা ছিল। দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে বিভিন্ন সমস্যার সঙ্গে লড়াই করেছে তারা। এনিয়ে শুধু কুম্ভিরাশ্রু ফেলেছে অনেকে। কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকার আসার পরই শরণার্থীদের দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধান করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক সহায়তায় প্রায় ১২টি জায়গায় ব্রু রিয়াং শরণার্থীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের জন্য স্কুল, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, রাস্তাঘাট সহ ইত্যাদি সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। আর এসব কিছু সম্ভব হয়েছে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য। তিনি জাতি জনজাতি সকল অংশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে কাজ করেন। সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস এর দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তিনি দেশের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। 
                    নির্বাচনী সভায় উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়া, এডিসির চেয়ারম্যান জগদীশ দেববর্মা, বিধায়ক স্বপ্না দেববর্মা, প্রাক্তন বিধায়ক বীরেন্দ্র দেববর্মা সহ তিন দলীয় জোটের অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্ব। এদিন বাইক র‍্যালী ও সভায় ব্যাপক অংশের কর্মী সমর্থকগণ অংশগ্রহণ করেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ