Advertisement

Responsive Advertisement

ধানের ব্যাকটেরিয়াজনিত পাতাপোড়া ও লালচে রেখা রোগের প্রাদুর্ভাব ও করণীয়

ধানের ব্যাকটেরিয়াজনিত পাতাপোড়া ও লালচে রেখা রোগের প্রাদুর্ভাব ও করণীয়

ব্যাকটেরিয়াজনিত পাতাপোড়া ও ব্যাকটেরিয়াজনিত লালচে রেখা আউশ, আমন এবং বোরো মওসুমে ধানের অন্যতম দু'টি রোগ। বন্যা পরবর্তী সময়ে এরোগ দু'টি বেশী দেখা যায়। অনেক সময় অতি বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার পরে পাতার অগ্রভাগ ফেটে যায় এবং এ রোগগুলোর ব্যাপকতা বৃদ্ধি পায়। বেশি পরিমাণ ইউরিয়া সারের ব্যবহার, উচ্চ তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা রোগগুলোর জন্য অনুকূল। অতি উর্বর, জলাবদ্ধ এবং ছায়াযুক্ত জমিতে রোগগুলো বেশী হয়। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকায় এ রোগগুলোর প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে এরোগগুলো ধানের ফলনের ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে।

ব্যাকটেরিয়াজনিত পাতাপোড়া

রোগের শুরুতে পাতার অগ্রভাগ বা কিনারায় জলচোষা শুকনা দাগ দেখা যায়।

দাগগুলো আস্তে আস্তে হালকা হলুদ রং ধারণ করে পাতার অগ্রভাগ থেকে নিচের দিকে বাড়তে থাকে।

শেষের দিকে আংশিক বা সম্পূর্ণ পাতা ঝলসে যায় এবং ধূসর বা শুকনো খড়ের মত রং ধারণ করে।

ব্যাকটেরিয়াজনিত লালচে রেখা

এরোগের লক্ষণ পাতার শিরা বরাবর লম্বালম্বিভাবে লালচে রেখা দেখা যায়।

রেখাগুলো প্রথমে হালকা হলুদ রঙের এবং ভেজা মনে হয়। সূর্যের দিকে ধরলে দাগগুলোর ভিতর দিয়ে আলো দেখা যায়।

রোগ দু'টি দমনে করণীয়

ঝড়-বৃষ্টি অথবা রোগ দেখা দেওয়ার পরপরই ইউরিয়া সারের উপরি প্রয়োগ বন্ধ রাখতে হবে।

সুষম সারের ব্যবহার রোগ দু'টি দমনে কার্যকর। বিশেষতঃ ইউরিয়া সার সঠিক মাত্রায় কিস্তিতে প্রয়োগ করতে হবে।

রোগের প্রাথমিক অবস্থায় ৬০ গ্রাম এমওপি, ৬০ গ্রাম থিওভিট ও ২০ গ্রাম জিংক সালফেট ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতাংশ জমিতে সমভাবে প্রয়োগ করতে হবে। তবে থোড় বের হওয়ার আগে এ রোগগুলো দেখা দিলে বিঘা প্রতি অতিরিক্ত ৫ কেজি পটাশ সার উপরি প্রয়োগ করলেও ভাল ফল পাওয়া যায়।

পর্যায়ক্রমে ভেজানো ও শুকানো পদ্ধতিতে (AWD) সেচ ব্যবস্থাপনা অনুসরণ করতে হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ