Advertisement

Responsive Advertisement

প্রদেশ সভাপতির হাত ধরে কংগ্রেস ছেড়ে প্রায় ছয় শতাধিক নেতাকর্মী বিজেপিতে সামিল



আগরতলা, ১মার্চ : বিরোধী দলগুলিতে ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে, রাজ্যে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই ভাঙ্গন যেন কয়েক গুণ দ্রুত হয়ে গিয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই রাজ্যের কোন না কোন প্রান্তে বিরোধী দল ভেঙ্গে কংগ্রেস দলে যোগদান করছে। সবচেয়ে বিপর্যস্ত অবস্থা কংগ্রেস দলে হাতেগোনা তিনজন বিধায়ক এবং গুটিকয়েক নেতাকর্মী ছাড়া এই দলে আর কাউকে দেখা যাচ্ছে না। সর্বশেষ কংগ্রেস দলকে খাদের কিনারায় নিয়ে এলেন 
কংগ্রেসের মাইনরিটি ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান জয়দুল হোসেন, রতন দাসসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ'র দল ত্যাগ। তারা কংগ্রেস ছেড়ে শুক্রবার যোগ দিলেন শাসক দল বিজেপিতে। এদিন এই দুই নেতার নেতৃত্বে প্রায় এক শতাধিক কর্মী সমর্থকরা প্রথমে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবন প্রাঙ্গনে এসে জমায়েত করেন। তারপর মিছিল করে রাজধানীর কৃষ্ণনগর এলাকার প্রদেশ বিজেপির কার্যালয়ে যান। মিছিল থেকে তারা আওয়াজ তুললেন "জগাই মাধাই এর তালিবালি ত্রিপুরা কংগ্রেসের ডাব্বা খালি"।
 মিছিল শুরুর আগে জয়দুল হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে জানান তারা এদিন কর্মী সমর্থক মিলে প্রায় ৩০০ জন বিজেপিতে যোগদান করছেন। পরবর্তী সময়ে অন্যান্য জেলা থেকেও কর্মী সমর্থকরা বিজেপিতে যোগদান করবেন। কংগ্রেস নেতাদের নোংরামি দেখে তাদের ঘৃণা চলে এসেছে, তাই কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান।
 পাশাপাশি রতন দাস জানান তারা কংগ্রেস দল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্মী সমর্থকরাও বিজেপিতে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেন। তাই তারা এদিন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য এসেছে। আগামী দিনে আরো অনেকেই বিজেপিতে আসবেন বলে জানান। 
 
 প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যর হাত ধরে অবশেষে বিজেপিতে শামিল হলেন কংগ্রেসের মাইনরিটি ডিপার্টমেন্টের নেতা জয়দুল হোসেন আরো এক কংগ্রেস নেতা রতন দাস সহ প্রায় ৬ শতাধিক কর্মী সমর্থক। তাদের হাতে বিজেপির দলীয় পতাকা তুলে দেন প্রদেশ সভাপতি। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক অমিত রক্ষিত, ভগবান চন্দ্র দাস, তাপস মজুমদার, সহ-সভাপতি তাপস ভট্টাচার্য, প্রদেশ যুব মোর্চার সভাপতি এবং বিধায়ক সুশান্ত দেব প্রমূখ। প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন দেখে তারাও সামিল হয়েছেন বিজেপি দলে। প্রদেশ সভাপতি বলেন আর কিছু দিনের মধ্যে লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হবে। এবারের লোকসভা নির্বাচনে আবারো মোদীকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইছেন সকলে। সেই সঙ্গে রাজ্যের দুটি লোকসভা আসনেই বিজেপি প্রার্থীদের জয়ী করে মোদীকে উপহার হিসেবে দিতে চান। এই সংকল্প বিজেপির সকলে নিয়েছেন। তাই দিকে দিকে বিরোধী দল ছেড়ে বিজেপিতে সামিল হচ্ছেন ভোটাররা বলেও জানান।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ