Advertisement

Responsive Advertisement

টিএমসি ও ড. বি আর আম্বেদকর হাসপাতালে চার দিনের শিশুর সফল অপারেশন

আগরতলা, ২৯ ডিসেম্বর : মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহা রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি রাজ্যে মেডিকেল হাভ করতে চাইছেন। এই লোককে ধীরে ধীরে এগিয়ে চলছে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় রাজ্যের চিকিৎসকরা আবারও জটিল অপারেশনে সাফল্য অর্জন করলেন। 
মাত্র চার দিনের শিশুর জটিল অপারেশন করে নজির গড়লেন আগরতলার হাঁপানিয়া এলাকার ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজ ও ড. বি আর আম্বেদকর হাসপাতালের চিকিৎসক টিম।
এই সফল অপারেশন করেছেন হাসপাতালের চিকিৎসক ডা আনন্দ বসাক শুক্রবার সাংবাদিকদের জানান কয় জেলার বেলছড়া এলাকার বাসিন্দা, পেশায় রাবার বাগানের শ্রমিক রাজীব সাঁওতালের একটি মেয়ের জন্ম হয়। কিন্তু মেয়েটি জন্মের পর মায়ের দুধ খেলেই বমি হয়ে যাচ্ছিলো, তাই মেয়েটিকে প্রথমে খোয়াই জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখান থেকে আগরতলার আই জি এম হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু সেখানেও তেমন কোন চিকিৎসা হয়নি। তাই সব শেষে শিশুটিকে মেডিকেল কলেজ ও ড. বি আর আম্বেদকর হাসপাতালে পাঠানো হয়। তখন ডা আনন্দ বসাকের তত্ববধানে চিকিৎসা শুরু হয়। তখন তিনি পরীক্ষা করে দেখতে পান শিশুটির খাদ্যনালীর মধ্যে একাধিক জায়গায় বন্ধ রয়েছে। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় অপারেশন করার, কিন্তু খুব জটিল অপারেশন তাই প্রায় ২ঘন্টা ধরে চলে অপারেশন। বর্তমানে শিশুটি সুস্থ্য রয়েছে বলে জানান তিনি। রাজ্যে এমন জটিল অপারেশন প্রথমবারের মতো করা হয়েছে এবং সফলতা এসেছে। এর জন্য তিনি তার টিমে থাকা সকল স্তরের কর্মীদের ধন্যবাদ জানান। সেইসঙ্গে তিনি আরো বলেন এই ধরনের ঘটনা বিরল থেকে বিরলতম। খুব কম সংখ্যক শিশুদের এমন ঘটনা ঘটে থাকে। আগামী দিনে যদি শিশুদের এমন কোন ঘটনা ঘটে থাকে তা হলে বহি:রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই আগরতলাতেই সফল অপারেশন করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি। শিশুটির বাবা রাজীব সাঁওতাল জানান এখন সুস্থ রয়েছে। ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ধন্যবাদ জানান। সেইসঙ্গে তিনি আরো জানান, তার আগেও একটি শিশুর জন্ম হয়েছিল এমনই সমস্যার কারণে তখন শিশুটির মৃত্যু হয়। বর্তমান শিশুটিকে বাঁচিয়ে তোলার জন্য অত্যন্ত খুশি। রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার যে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে তার একটি উদাহরণ এই অপারেশন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ