Advertisement

Responsive Advertisement

মিজোরাম সীমান্তে অজানা ভাস্কর্যের পাহাড়

  - পান্না লাল রায়(ইতিহাস বিষয়ক বিশিষ্ট লেখক)

অসম-মিজোরাম সীমান্তের জঙ্গলাকীর্ণ স্হানে প্রত্ন সম্পদ আবিষ্কার ঘিরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।ত্রিপুরার পিলাকের বিগ্রহের নির্মাণ শৈলীর সঙ্গে নব আবিষ্কৃত ভাস্কর্যের এক আশ্চর্য সাযুজ্য লক্ষ্য করা গেছে। গভীর জঙ্গলে ভাস্কর্য আবিস্কারের ঘটনা ত্রিপুরা সহ সংশ্লিষ্ট এলাকার ইতিহাস চর্চায় এক নতুন মাত্রা আনবে বলে মনে করা হচ্ছে।আরও আবিস্কারের আশায় উন্মুখ হয়ে আছে ঘাড়মুড়ার জঙ্গল। 
বরাক উপত্যকার হাইলাকান্দির কাটলিছড়া থেকে ২৫/৩০ কি:মি: দূরে গভীর জঙ্গল।অসম-মিজোরাম সীমান্তের এই অঞ্চলটি ঘাড়মুড়ার জঙ্গল নামে পরিচিত। সম্প্রতি সেখানেই আবিষ্কৃত হল আশ্চর্য সব ভাস্কর্য,যার সঙ্গে ত্রিপুরার পিলাকের বিগ্রহের মিল লক্ষ্য করা যায়।শুধু পিলাক নয়,ত্রিপুরার ঊনকোটি এবং বরাকের ভুবন পাহাড়ের পাথুরে বিগ্রহের সঙ্গে ঘাড়মুড়ার এক সংযোগের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যায় না।এই সব প্রত্নস্হলের সঠিক ইতিহাস এখনও অনাবিষ্কৃত বললে ভুল বলা হবেনা।ঊনকোটি, পিলাক, দেবতামুড়া ও ভুবন পাহাড়কে যেমন রহস্য ঘিরে আছে, তেমনই ব্যতিক্রম নয় ঘাড়মুড়াও। অসম-মিজোরাম সীমান্তের ঘাড়মুড়ার গভীর জঙ্গলে রিয়াং সম্প্রদায়ের মানুষ সুদীর্ঘকাল যাবৎ এক ভগ্ন বিগ্রহকে দেবী দুর্গা হিসেবে পূজা করে আসছিলেন। দুই হাত ভাঙা এই বিগ্রহের পাশেও পূজিত হন লক্ষ্মী ও গণেশ রূপে দুই বিগ্ৰহ। আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃশ্যকলা বিভাগের সহ:অধ্যাপক ড.গণেশ নন্দী, ভাস্কর ড.বিনয় পাল সম্প্রতি এই অঞ্চলে আরও অনাবিষ্কৃত ভাস্কর্যের সন্ধান পেয়েছেন। তাদের সঙ্গে স্হানীয় রিয়াং আদিবাসীদের ক'জনও ছিলেন। পাহাড় চড়ে তারা দেখেছেন লতাগুল্মে আচ্ছাদিত অজানা বিগ্রহ। ড. গণেশ নন্দী বলেছেন, রিয়াং জনজাতি অধ্যুষিত পাহাড় ঘেরা এই গ্রামটি শৈবতীর্থ হিসেবেও পরিচিত। স্হানীয় নাম 'শিব্রাই তিথোস্হান'।পাহাড়ের ঢালে বেলে পাথরে খোদাই করা বিগ্রহ সকল এতদিন যেন লোকচক্ষুর অন্তরালেই ছিল। কালের কবলে পড়ে এর বেশিরভাগই বিনষ্ট হয়ে গেছে। অসম-মিজোরাম সীমান্তে অশান্তির সময়েও দুষ্কৃতীরা কিছু কিছু ভাস্কর্য ধ্বংস করে দিয়েছে।শিবলিঙ্গ ছাড়াও পাহাড়ের গায়ে নানা দেবদেবীর প্যানেল ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণা। পাথর কেটে সিঁড়িও তৈরী হয়েছিল এক সময়।রয়েছে পাথরের গুহা। সব মিলিয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হিন্দু দেব দেবীর বিগ্রহে যেমন এক উন্নত শিল্পকলার নিদর্শন রয়েছে, তেমনই সুদূর অতীতে এই অঞ্চলে উন্নত সভ্যতারও প্রমাণ পাওয়া যায় এর মাধ্যমে। ড.নন্দী বলেছেন ঘাড়মুড়ার আবিষ্কৃত ভাস্কর্যে পাল ও গুপ্ত যুগের নির্মাণ শৈলীর প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
এখানে উল্লেখ করা যায়,উত্তর পূর্বাঞ্চলের এক উল্লেখযোগ্য প্রত্নভূমি ত্রিপুরার পিলাকের কথা।সেখানেও মাটির নিচে শুয়ে আছে অজানা ইতিহাস। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের অনুমান একদা বৌদ্ধ ও ব্রাহ্মণ্য সংস্কৃতির মিলন ঘটেছিল সেখানে। অনেকে বলেছেন পিলাক একদা বৌদ্ধ সংস্কৃতির প্রভাব পুষ্ট ছিল। আবার তার শিল্প সামগ্রী ব্রাহ্মণ্য ধর্ম দ্বারাও প্রভাবিত হয়েছে।দক্ষিণ ত্রিপুরার পিলাকের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে বিভিন্ন সময়ে নানা বিগ্রহ, প্রাচীন যুগের ইঁট, পাচিলের ধ্বংসাবশেষ, মুদ্রা ইত্যাদি আবিষ্কৃত হয়েছে। ১৯৮৫ সালে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগ পিলাকের শ্যামসুন্দর টিলায় খনন কার্য চালায়। পাথরে তৈরি অবলোকিতেশ্বর, মস্তকবিহীন বুদ্ধ বিগ্রহ, ব্রোঞ্জ নির্মিত বুদ্ধ ইত্যাদি পাওয়া গেছে সেখানে। বুদ্ধ মূর্তির মতো হিন্দু দেবদেবীর বিগ্রহও পাওয়া গেছে পিলাকের বিভিন্ন অঞ্চলে। পূজাখলায় মাটির ঢিবি খনন করে পাওয়া গেছে প্রাচীন দেয়ালের ধ্বংসাবশেষ। আবিষ্কৃত হয়েছে দন্ডায়মান সূর্য মূর্তি,যা কিনা নবম শতাব্দীর বলে অনুমান করা হয়েছে। পিলাকের ঠাকুরাণী টিলায় মাটির নিচ থেকে অনেক বিগ্রহ আবিষ্কৃত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সূর্য, মহিষাসুর মর্দ্দিনী, শিব। সেখানে মন্দিরের ধ্বংসাবশেষও পাওয়া গেছে।সপ্তম-অষ্টম শতাব্দী থেকেই পিলাকের শিল্প সামগ্রী সৃষ্টি শুরু হয়েছিল বলে মনে করা হয়।সুপ্রাচীন কালে পিলাককে কেন্দ্র করে ছিল এক সমৃদ্ধ জনপদ।সংশ্লিষ্ট গবেষকগণ আরও বলেছেন যে, পিলাকের ভাস্কর্য সমূহ সৃষ্টির পেছনে রয়েছে বিভিন্ন মানব গোষ্ঠীর বহু বছরের অবদান। সময়ে সময়ে তারা এসেছিল বাংলা, চট্টগ্রাম ও আরাকান থেকে।পিলাকের বিভিন্ন অঞ্চলে যে সব পোড়া মাটির ফলক আবিষ্কৃত হয়েছে সেগুলো গুপ্তোত্তর কালের শিল্প কীর্তির সাক্ষ্য বহন করছে বলে কেউ কেউ উল্লেখ করেছেন। পিলাক অঞ্চলে যেসব স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা পাওয়া গেছে সেসব সপ্তম-অষ্টম থেকে দ্বাদশ-ত্রয়োদশ শতাব্দী পর্যন্ত প্রচলিত ছিল বলে মনে করা হয়। যাই হোক, অসম-মিজোরাম সীমান্তের ঘাড়মুড়ার জঙ্গলে সদ্য আবিষ্কৃত ভাস্কর্যের সঙ্গে পিলাকের বিগ্রহের নির্মাণ শৈলীর সাযুজ্য প্রসঙ্গে ড.নন্দী বলেছেন,দুই অঞ্চলের বিগ্রহের কটিবন্ধের মিল রয়েছে। এথেকে ধারণা হয় দুই অঞ্চলের শিল্প সৃষ্টিও প্রায় একই সময়কালের। কিন্তু ত্রিপুরার পিলাক থেকে কয়েকশো কি:মি: দূরে গভীর জঙ্গলে কাদের পৃষ্ঠপোষকতায় এইসব শিল্পকর্ম সৃষ্টি হয়েছিল?তাহলে হাজার বছর আগেও সেখানে কি এক উন্নত সভ্যতা ছিল? প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যায় ত্রিপুরার ঊনকোটির কথা। এখানে পাহাড়ে ছড়িয়ে আছে পাথরের বিগ্রহ, আছে পাহাড়ের গায়ে পাথরে খোদাই নানা দেবদেবীর মূর্তি। ঊনকোটি শৈবতীর্থ হিসেবে পরিচিত। সেখানে পাহাড়ের গায়ে পাথরে খোদাই সবচেয়ে বড় মূর্তিটি ঊনকোটিশ্বর শিবের। প্রায় ত্রিশ ফুট উঁচু এই বিগ্রহ। এছাড়া রয়েছে পাথরে খোদাই গণেশ, দুর্গা। কিন্তু কবে কার পৃষ্ঠপোষকতায় দুর্গম পাহাড়ে এই সব বিগ্ৰহ সৃষ্টি হয়েছিল? ঊনকোটির বিগ্রহ সমূহের সৃষ্টি যেন আজও রহস্যাবৃত। কেউ কেউ বলেছেন ঊনকোটি পাল যুগের শৈবতীর্থ। আবার অনেকে বলেছেন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানব গোষ্ঠীর অবদান রয়েছে ঊনকোটিতে। প্রত্ন বিশেষজ্ঞদের মতে ঊনকোটির বিগ্রহ সৃষ্টি শুরু হয় অষ্টম-নবম শতাব্দীতে। পরবর্তী নানা সময়ে যুক্ত হয়েছে আরও শিল্পকর্ম। এবার আসা যাক কাছাড়ের ভুবন পাহাড়ের কথায়। ভুবন পাহাড়েও রয়েছে প্রাচীন মন্দির, বিগ্রহ, সুড়ঙ্গ পথ। তবে বহু আগে থেকেই বিগ্রহের ভগ্ন দশা চলছে। ত্রিপুরার ঊনকোটির মতো কাছাড়ের ভুবনও এক শৈব তীর্থ। কেউ কেউ মনে করেন ঊনকোটিরও আগে ভুবনের সৃষ্টি শুরু হয়েছিল। সুদূর অতীতে কাছাড়ের ভুবন ও সন্নিহিত অঞ্চলে ত্রিপুরার রাজাদের রাজত্ব ছিল। 'কাছাড়ের ইতিবৃত্ত' গ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে যে,সুপ্রাচীন কালে ভুবন পাহাড় থেকে আজকের ত্রিপুরার কৈলাসহর পর্যন্ত এক বিস্তীর্ণ জনপদ ছিল এবং কালক্রমে তা ঘোর অরণ্যে পরিণত হয়।এ থেকে ঊনকোটির শিল্পকর্মের সঙ্গে ভুবনের এক যোগসূত্রের ধারণা করা যায়।
যাইহোক, ত্রিপুরা ও কাছাড়ের এইসব পাথুরে শিল্পকর্ম প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায় যে,ত্রিপুরার মাণিক্য রাজাদের রাজত্বকালের আগেই সেসব সৃষ্টি হয়েছিল। পঞ্চদশ শতকে ত্রিপুরার মাণিক্য রাজবংশের প্রতিষ্ঠা।কিন্তু উল্লিখিত শিল্পকর্ম সমূহ তারও অনেক অনেক আগের। সুদূর অতীতে কাছাড় ত্রিপুরার রাজাদের শাসনাধীন ছিল। 'রাজমালা'তে ত্রিপুরার রাজা ত্রিলোচনের সঙ্গে হেড়ম্ব অর্থাৎ কাছাড়ের রাজকন্যার বিবাহের উল্লেখ রয়েছে। সেটা মহাভারতের সময়কার কথা।তারও অনেক অনেক পরে হেড়ম্ব ও ত্রিপুরার রাজার মধ্যে যুদ্ধের কাহিনি জানায় 'রাজমালা'।ঐতিহাসিক কৈলাসচন্দ্র সিংহ তাঁর সুবিখ্যাত 'রাজমালা বা ত্রিপুরার ইতিহাস'গ্ৰন্হে বলেছেন, ত্রিপুর বংশীয় গণ দক্ষিণ দিকে রাজ্য বিস্তারে যত্নবান ছিলেন। তারা ক্রমে ক্রমে উত্তর কাছাড় থেকে মধ্য কাছাড় এবং সেখান থেকে দক্ষিণ কাছাড় হয়ে কৈলাসহরের দিকে গিয়েছিলেন। সেসব অবশ্য ঐতিহাসিক যুগের আগেকার কথা।অসমের ইতিহাসে রয়েছে যে,ষোড়শ শতকে কাছাড়ে ত্রিপুরার আধিপত্য লুপ্ত হয়।কোচদের সঙ্গে এক ভীষণ যুদ্ধে ত্রিপুরার রাজা পরাজিত হন। কিন্তু ত্রিপুরার 'রাজমালা'তে এই যুদ্ধের বিবরণ নেই। পঞ্চদশ শতক থেকে ত্রিপুরার মোটামুটি এক ধারাবাহিক ইতিহাস 'রাজমালা'তে পেলেও কোচদের সঙ্গে ত্রিপুরার রাজার যুদ্ধের কথা নেই। স্যার এডওয়ার্ড গেইট তাঁর 'এ হিস্ট্রি অব আসাম' গ্রন্হে ত্রিপুরার বিরুদ্ধে কোচদের যুদ্ধ জয়ের কথা উল্লেখ করেও বলেছেন এর ঐতিহাসিক ভিত্তি পর্যাপ্ত নয়। যাইহোক, ত্রিপুরার ঊনকোটি ও পিলাকের শিল্পকর্ম সম্পর্কে 'রাজমালা'তে কোনও উল্লেখ নেই। কিন্তু প্রত্ন বিশেষজ্ঞদের ধারণা সপ্তম-অষ্টম শতক থেকে শুরু হয়েছিল সেসব শিল্পকর্ম। ত্রিপুরার প্রাক মাণিক্য যুগের নৃপতিদের পৃষ্ঠপোষকতায় সেসব সৃষ্টি হয়েছিল বলে অনুমান করা যায়।
অসম-মিজোরাম সীমান্তের ঘাড়মুড়ার নব আবিষ্কৃত ভাস্কর্য সমূহের সৃষ্টিকালও হাজার/দেড় হাজার বছরের পুরনো বলে ধারণা করা হচ্ছে।সেইসব ভাস্কর্যে হিন্দু দেবদেবীর মতো বুদ্ধ প্রভাবও লক্ষ্য করা গেছে। সেই সূত্রে বলা যায়,ঘাড়মুড়াও হয়তো একদা হিন্দু ও বৌদ্ধ সংস্কৃতির প্রভাব পুষ্ট ছিল। প্রত্ন সামগ্রীর মতো জনশ্রুতির সূত্র ধরেও অনেক সময় ইতিহাসের অন্ধকার পথে ঝিলিক দিয়ে উঠে আলোর রেখা।অসম-মিজোরাম সীমান্তের রিয়াং জনজাতিদের মধ্যে এরকম জনশ্রুতি রয়েছে যে,যুদ্ধ জয়ের পর ত্রিপুরার সেনাপতি রায় কয়চাগ সেখানে দুর্গা পূজা করেছিলেন। এখানে উল্লেখ করা যায় যে,ত্রিপুরার মধ্যযুগের বীর নৃপতি ধন্য মাণিক্যের (১৪৯০-১৫১৫ খ্রিঃ) বীর সেনাপতি ছিলেন রায় কয়চাগ। সেসময় কুকিদের সঙ্গে ত্রিপুরার যুদ্ধ হয়েছিল এবং দীর্ঘ মেয়াদী সেই যুদ্ধে ত্রিপুরার বিজয় লাভ ঘটেছিল। সব মিলিয়ে প্রাক মাণিক্য থেকে মাণিক্য যুগেও এই অঞ্চল যেন ত্রিপুরার আধিপত্যের সাক্ষ্য বহন করছে। অসম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ: অধ্যাপক ড.গণেশ নন্দী বলেছেন, বেশ কিছু ভাস্কর্য দুষ্কৃতীদের তান্ডবে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পরও ঘাড়মুড়ার জঙ্গলে আরও অনেক ভাস্কর্য হয়তো আবিস্কারের অপেক্ষায় রয়েছে। তারা ইতিমধ্যে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বিষয়টি নিয়ে।উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিশিষ্ট ঐতিহাসিক তথা আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য জয়ন্ত ভূষণ ভট্টাচার্যও এইসব ভাস্কর্য প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ কর্তৃক সংরক্ষণে গুরুত্ব আরোপ করেছেন। 
ত্রিপুরার পিলাক, ঊনকোটি এবং কাছাড়ের ভুবন সহ ঘাড়মুড়ার সদ্য আবিষ্কৃত ভাস্কর্যের পাহাড়ের মধ্যে এক যোগসূত্রের সম্ভাবনা রয়েছে।এসব জায়গাতে শিল্পকর্ম শুরু হয়েছিল সপ্তম-অষ্টম শতকে।শুধু প্রাচীনত্বে নয়,শিল্পকর্মেও হিন্দু ও বৌদ্ধ সংস্কৃতির প্রভাব। সব মিলিয়ে ঘাড়মুড়ার নব আবিষ্কৃত ভাস্কর্য যেন ইতিহাস চর্চায় এক নতুন মাত্রা বয়ে আনবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ