আগরতলা পুর নিগমের পরিচালনা কমিটির ২ বছর পুর্তি উপলক্ষে এই লাভার্থী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। লাভার্থী সম্মেলনের উদ্বোধন করে আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার বলেন, আগরতলার স্ট্রিট ভেন্ডারদের কল্যাণে পুর নিগম বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছে। আগরতলা পুর নিগম এলাকায় এখন ২,৭৩৮ জন স্ট্রিট ভেন্ডার রয়েছেন। স্ট্রিট ভেন্ডারদের প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি যোজনার মাধ্যমে ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ দেওয়া হচ্ছে। আগরতলা পুর নিগম 'নতুন আগরতলা' গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে আগরতলা পুর নিগম নতুন রাস্তা নির্মাণ, পুরাতন রাস্তা সংস্কার, পুরাতন ও পরিত্যক্ত পুকুরকে নতুন করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। তাছাড়াও শহরের নালা সংস্কার, বৈদ্যুতিকরণ, বাড়ি বাড়ি আবর্জনা সাফাই, ওপেন জিম চালু পানীয়জলের সুযোগ সম্প্রসারণের প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আগরতলা পুর নিগমের বর্তমান গভর্নিং বডির ২ বছর পূর্তি হয়েছে। আগামী ৩ বছরে আগরতলা পুর নিগমকে নতুনভাবে গড়ে তোলার জন্য বহুমুখী পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, নিগমের এই ২ বছরের রিপোর্ট কার্ড নাগরিকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা আত্মনির্ভর ত্রিপুরা, এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ার প্রয়াস নিয়েছেন। লাভার্থী সম্মেলনে আগরতলা পুর নিগমের ডেপুটি মেয়র মণিকা দাস দত্ত বলেন, আগরতলা পুর নিগম স্ট্রিট ভেন্ডারদের আর্থ সামাজিক মানোন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। লাভার্থী সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আগরতলা পুর নিগমের সেন্ট্রাল জোনের চেয়ারম্যান রত্না দত্ত। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আগরতলা পুর নিগমের অতিরিক্ত মিউনিসিপাল কমিশনার মোহম্মদ সাজ্জাদ পি। উপস্থিত ছিলেন মেয়র ইন কাউন্সিল সম্পা সেন সরকার, মেয়র ইন কাউন্সিল হিমানী দেববর্মা ছাড়াও অন্যান্য কর্পোরেটরগণ, বিভিন্ন ব্যাঙ্ক ও দপ্তরের আধিকারিকগণ।সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি প্রকল্পে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে স্ট্রিট ভেন্ডার রাজকুমার দাসকে ৫০ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়। তার পক্ষে চেক গ্রহণ করেন রামপ্রসাদ আচার্য। এ প্রকল্পে ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাঙ্ক থেকে স্ট্রিট ভেন্ডার জুলি দেবী সাউকে ৫০ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়। তার পক্ষে চেক গ্রহণ করেন বজরঙ্গী সাউ। এ প্রকল্পে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক থেকে স্ট্রিট ভেন্ডার সঞ্জয় পালকে ৫০ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়। তার পক্ষে চেক নেন প্রদীপ পাল। এ প্রকল্পে ইউকো ব্যাঙ্ক থেকে স্ট্রিট ভেন্ডার উত্তম কুমার রুদ্রপালকে ২০হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বাক্ষর সম্বলিত প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি প্রকল্পের পরিচয়পত্র স্ট্রিট ভেন্ডার প্রদীপ সাহা ও নন্দদুলাল আচার্যকে দেওয়া হয়। এছাড়া ডিজিটাল লেনদেনে সাফল্য অর্জনকারী স্ট্রিট ভেন্ডার সুশান্ত কর্মকার, শুভ মল্লিক ও রঞ্জিত দাসকে শংসাপত্র ও স্মারক উপহার দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। মেয়র সহ অতিথিগণ স্ট্রিট ভেন্ডারদের হাতে চেক, পরিচয়পত্র, শংসাপত্র ও স্মারক উপহার তুলে দেন। সম্মেলনে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া, ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাঙ্ক, ইউকো ব্যাঙ্ক, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক, স্বাস্থ্য ও শ্রম দপ্তর থেকে প্রদর্শনী স্টল খোলা হয়। স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে ৫১ জনকে হোমিওপ্যাথিক ও ৬৫ জনকে অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা করে বিনামূল্যে ঔষধ দেওয়া হয়। আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার কার্ড দেওয়া হয় ৩ জনকে। আভা কার্ড দেওয়া হয় ৪৫ জনকে। শ্রম দপ্তর থেকে ই-শ্রম কার্ড বিলি করা হয় ২৭টি। আগরতলা পুর নিগম থেকে ৪০৫ জন নতুন স্ট্রিট ভেন্ডারের নাম নথিভুক্ত করা হয়।
0 মন্তব্যসমূহ