আগরতলা, ২ অক্টোবর : রাজ্যে শিক্ষা ক্ষেত্রের সার্বিক বিকাশে বর্তমান সরকার বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। শিক্ষার পরিকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের গুণগতমানের শিক্ষা প্রদানে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। আজ নরসিংগড়স্থিত ভবনস ত্রিপুরা বিদ্যামন্দিরের ২৮তম প্রতিষ্ঠা দিবসে প্রধান অতিথির ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। প্রতিষ্ঠা দিবসের পাশাপাশি এই বিদ্যামন্দিরে আজ গান্ধী জয়ন্তী পালন করা হয়। প্রধান অতিথির ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভবনস ত্রিপুরা বিদ্যামন্দির রাজ্যের শিক্ষার জগতে অন্যতম এক প্রতিষ্ঠান। দেশ ও বিদেশে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শাখা রয়েছে। এই বিদ্যামন্দিরে মূল্যবোধের পাশাপাশি ভারতীয় সংস্কৃতির ধারাকেও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার শিক্ষা প্রদান করা হয়ে থাকে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী প্রায় সময়ই বলে থাকেন যাদের কাছে জ্ঞান থাকবে পৃথিবী তাদের হাতের মুঠোয় থাকবে, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার দেশকে শিক্ষাক্ষেত্র সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। সম্প্রতি জি-২০ সম্মেলনেও আমাদের দেশের সার্বিক উন্নয়ন প্রসংশিত হয়েছে। রাজ্য সরকারও শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে নানা কর্মসূচি রূপায়ণ করছে। রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি অবিভাবকদের পূর্ণ বিশ্বাস রাখা উচিত। তাই ছেলেমেয়েদের প্রাইভেট টিউশনের প্রতি ঝোঁক না বাড়িয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি আস্থা রাখার জন্য অবিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে ভবনস ত্রিপুরার ডিরেক্টর জিবি সুব্রামনিয়ম বলেন, ১৯৩৮ সালে ভারতীয় বিদ্যাভবন প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরু থেকেই এই প্রতিষ্ঠান মূল্যবোধের শিক্ষা, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে এবং সমাজসেবা এই তিনটি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, ভবনস ত্রিপুরা বিদ্যামন্দিরের অধ্যক্ষ স্বপ্না সোম ও চেয়ারম্যান দেবাশিষ চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, নরসিংগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নিবেদিতা দাস সাহা প্রমুখ। বিদ্যামন্দিরে হিন্দি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। এছাড়াও তিনজন ছাত্রছাত্রীকে হরলাল মেরিট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। তাদের হাতে নগদ অর্থরাশি এবং শংসাপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
0 মন্তব্যসমূহ