Advertisement

Responsive Advertisement

আগরতলার পরিবেশকে শান্ত রাখতে তৎপর পুলিশ : এসডিপিও অজয় কুমার

আগরতলা, ১৯ জানুয়ারী : নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখন রাজধানী আগরতলাকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। ফ্ল্যাগমার্চের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা গুলিতে নাকা বসানো হয়েছে। পুলিশ নিয়মিতভাবে নজরদারি চালাচ্ছে এই জায়গাগুলোতে। 
রাজ্যের নির্বাচনকে অবাদ এবং শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন করার জন্য তৎপর নির্বাচন কমিশন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পূর্ণাঙ্গ টিম নিয়ে রাজ্য সফর কালে আশ্বস্ত করেছিলেন যে তাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে নির্বাচনকে অবাধ শান্তিপূর্ণ সর্বাধিক সংখ্যক ভোটারদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা। এই লক্ষ্যে ইতিমধ্যে গোটা রাজ্যে বিপুল সংখ্যক আধা সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে নিয়ে আসা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে আরো অনেক নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানদের রাজ্যে নিয়ে আসা হবে।
 এদিকে রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় প্রতিদিনই চলছে পুলিশের বিশেষ টহল। বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে রাজধানী আগরতলা এবং তার আশেপাশের এলাকায়। সদর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অজয় কুমার দাস এক সাক্ষাৎকারে বলেন রাজধানী আগরতলা এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় মোট আটটি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে সদর মহকুমার অধীনে রয়েছে ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্র। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগে থেকেই আইনশৃঙ্খলার রক্ষার বিষয়ে বিশেষ তৎপর। পাশাপাশি মুখ্য নির্বাচন কমিশনার তার সফর কালে সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশে এবং অধিক সংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে নির্বাচন সম্পন্ন করার দিকে গুরুত্ব আরোপ করেছেন। এর প্রেক্ষিতে বিশেষ ফ্ল্যাগ মার্চ চলছে শহর জুড়ে। পাশাপাশি রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তায় পুলিশের তরফে নাকা বসানো হয়েছে। এই নাকাগুলোতে বিভিন্ন সময় তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে চলছে নৈশকালীন টহল। গত চার মাসের রাজধানী আগরতলায় ফেন্সিং কলা পরিস্থিতি নিয়ে বড় ধরনের কোন অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেনি। এখন অপরাধের ঘটনাও কম সংগঠিত হচ্ছে। পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হবে সেই সঙ্গে পুলিশি টহলদারিও আরো বৃদ্ধি পাবে বলে জানান তিনি। এর কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন খুব দ্রুত রাজ্যে আরো কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে। তবে এখনও রাজধানীর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং শান্ত। কোন ধরনের কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তেমন পরিস্থিতি নিয়মিত ভাবে বজায় রাখার চেষ্টা তাদের তরফে চলছে বলে জানান।
 নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা রাজ্যে প্রায় ৪০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান আনার পরিকল্পনা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। এর মধ্য থেকে প্রায় একশ কোম্পানি বরাদ্দ থাকবে রাজধানী সহ পশ্চিম জেলার জন্য। বুথের নিরাপত্তা ছাড়াও এলাকায় টহলদারের জন্য আট থেকে দশ কোম্পানি নিরাপত্তা কর্মী থাকতে পারে বলেও আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ