Advertisement

Responsive Advertisement

আগ্রাসী নেশার হাত থেকে আত্মমুক্তির পথ



                    
                                            ড. শ্রীমন্ত রায় 

পৃথিবীটা অনেক বড়—এখানে দেখার আছে অনেক কিছু, শেখার আছে অনেক কিছু, অনুভব করার ও উপভোগ করার আছে অসংখ্য বিষয়।
সেই কারণেই আজ বিশ্ব ফটোগ্রাফি দিবসে আমার সমস্ত কচিকাঁচা ও যুব বন্ধু-বান্ধবদের কাছে আবেদন, তারা যেন নেশার আগ্রাসন থেকে নিজেদের মুক্ত রাখে। আমি ফটোগ্রাফি করি বলেই ফটোগ্রাফির কথাই বললাম, তবে তার মানে এই নয় যে শুধু ফটোগ্রাফিতেই মন দিতে হবে। যে কোনো সৃজনশীল কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখলে যেমন নিজের সৃজনশীলতা বাড়ে, তেমনি বিশ্বের দরবারে নতুন এক পরিচিতিও তৈরি হয়। উপরন্তু, এই ধরনের কাজে যুক্ত থাকলে নানা কু-নেশা ও অশুভ আকর্ষণ থেকেও নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হয়।
ছোট্ট এক ৩৫ মিলিমিটার ফ্রেমের ভেতর দিয়ে আমরা বন্দী করি এই বিশাল পৃথিবীর অগণিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, মানুষের জীবন, সংস্কৃতি, ভালোবাসা, আনন্দ-বেদনার অসংখ্য মুহূর্ত। আমি কতটুকু তা করতে পেরেছি জানি না, কিন্তু প্রতিটি ফ্রেমে বন্দী করা মুহূর্তগুলো যতবার দেখি, ততবারই সেগুলো নতুন মনে হয়।
ফটোগ্রাফির মতো সৃজনশীল কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখি বলেই নানান শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণার থেকেও মুক্ত থাকতে পারি। এটি আমার আজকের অভ্যাস নয়—বরং বলা ভালো, শৈশবকাল থেকেই ফটোগ্রাফির সঙ্গে আমার পরিচয়। আজ বার্ধক্যে উপনীত হলেও সেই সখ্য এখনো অটুট। ফটোগ্রাফি আমার হাত ছাড়েনি, আমিও তার হাত ছাড়তে পারিনি কোনদিনই। তার ওপর প্রকৃতির হাতছানি আমাদের দুজনকে এত দীর্ঘ পথ পার করে নিয়ে এসেছে।
আমাদের এই একসাথে পথ চলা আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। তবে ‘দেওয়া’ বলতে শুধু পুরস্কার বা সম্মান নয়—সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হলো নিজের মুক্তির পথ খুঁজে পাওয়া। হয়তো এমনই কোন এক পথে, আগামী ভারত ও পৃথিবী নেশা মুক্ত হবে, এটাই আমার স্বপ্ন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ