ধরতি আবা জনভাগিদারী অভিযান জনজাতিদের একান্ত প্রয়োজন : মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা

আগরতলা, ১৫ জুন : সারা দেশের সাথে রাজ্যে ও রবিবার থেকে শুরু হয়েছে "ধরতি আবা জন ভাগিধারী অভিযান"। এই উপলক্ষে এদিন আগরতলার প্রজ্ঞা ভবনে এক আইনি সচেতনতা মূলক উপকার প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ শিবির অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজাতি কল্যাণ মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা এবং মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া, পশ্চিম জেলার জেলা শাসক ডা বিশাল কুমারসহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।

জনজাতিদের অবিসংবাদীত নেতা ভগবান বিরসা মুন্ডার জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ১৫ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ধরতি আভা জন বাগিধারী অভিযান শুরু হয়েছে। রবিবার থেকে রাজ্যের প্রতিটি জ্বালাতেও এই কর্মসূচি শুরু হয়। এই উপলক্ষে রবিবার রাজধানীর প্রজ্ঞা ভবনে এক আইনি সচেতনতামূলক উপকারপ্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ শিবির অনুষ্ঠিত হয়। এই শিবিরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা এবং মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া। এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা। এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, প্রত্যন্ত এলাকার জনজাতিদের সার্বিক বিকাশের লক্ষ্যেই এই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এখনো রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসকারী অনেক জনজাতি পরিবারের কোন নথিপত্র নেই। কিন্তু সরকারি সুযোগ সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে নথিপত্র একান্ত প্রয়োজন। এই কর্মসূচির মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনজাতিদের হাতে যাবতীয় নথিপত্র তুলে দেওয়া হবে। ১৫ দিনব্যাপী এই কর্মসূচি চলবে বলে জানান তিনি। তিনি আরো জানান রাজ্যের জনজাতিদের জন্য এই কর্মসূচি একান্ত প্রয়োজন।

আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত রাজ্যের প্রতিটি জেলায় এই কর্মসূচি চলবে। উল্লেখ্য ২০২১ সাল থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামী ভগবান বিরসা মুন্ডার জন্মদিন কে গৌরবময় দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। ধরতি আবা শব্দের মানে হল পৃথিবীর পিতা। ভগবান বিরসা মুন্ডা কে সম্মান জানানোর জন্যই এই শব্দ যুগলের ব্যবহার করা হয়।