Advertisement

Responsive Advertisement

টিআরএলএম পশ্চিম জেলা অফিসের উদ্যোগে চলছে আগরবাতি তৈরীর প্রশিক্ষণ


আগরতলা, ২৫ জুন : প্রচলিত সকল প্রশিক্ষণের পাশাপাশি আগরবাতি, মোমবাতি, কলম, জ্যাম জেলি চিপস সহ নতুন নতুন সামগ্রী তৈরীর প্রশিক্ষণ দিয়ে সারারাতের মধ্যে নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে টি আর এল এম'র জেলা অফিস। আধিকারিকদের এই সকল অভিনব উদ্যোগের ফলে একদিকে যেমন মহিলাদের নতুন নতুন কাজের সংস্থান হচ্ছে তেমনি আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন তারা, তাই এই সকল প্রশিক্ষণের সঙ্গে যুক্ত জাতি জনজাতি অংশের মহিলারা ধন্যবাদ জানাচ্ছেন পশ্চিম জেলা প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারকে। হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিষ্টান সব ধর্মীয় অনুষ্ঠানেই আগরবাতি ব্যবহার করা হয়। শুধুমাত্র ধর্মীয় অনুষ্ঠানই নয় বাড়ি ঘরেও নানা সময় আগরবাতি ব্যবহার করা হয়। সুগন্ধী আগরবাতি মানুষের মন প্রাণকে উৎফুল্লিত করে, তাই এর ব্যাপক প্রচলন রয়েছে। রাজ্যেও ব্যাপক পরিমাণে আগরবাতি ব্যবহার করা হয় কিন্তু রাজ্যের চাহিদার প্রায় এক শতাংশ আগরবাতিই ভিন রাজ্য থেকে আমদানি করা হয়। এই শিল্পে ব্যাপক সম্ভাবনা থাকলেও রাজ্যে আগরবাতি কারখানা গড়ে তুলার বিষয়ে আগে তেমন কোন আগ্রহ দেখা যায়নি। অথচ অতি অল্প পরিসরে আগরবাতি তৈরি করা সম্ভব। এই সম্ভাবনাময় শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এবার বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ ত্রিপুরা গ্রামীণ জীবিকা মিশন তথা টি আর এল এম'র পশ্চিম জেলা অফিস। তাদের উদ্যোগে পুরাতন আগরতলা ব্লকের অন্তর্গত পশ্চিম নোয়াবাদী গ্রামপঞ্চায়েত কার্যালয়ে ১০দিন ব্যাপী আগরবাতি তৈরীর উপর প্রশিক্ষণ শিবির চলছে। এই শিবিরে স্থানীয় এলাকার বিভিন্ন স্বসহায়ক দলের মোট ৩০জন মহিলা সদস্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। শুধুমাত্র প্রশিক্ষণ দেওয়াই নয়, পরবর্তী সময়ে তারা কি ভাবে বাজারে তাদের উৎপাদিত আগরবাতিগুলো বিক্রি করতে পারেন এই বিষয়ে সব ধরনের সহায়তা করা হবে বলেও বলেন পুরাতন আগরতলা ব্লকে কর্মরত টিআরএলএম'র কর্মচারী শুভজিৎ শর্মা। 
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী মহিলারাও নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে খুশি ব্যক্ত করেন এবং জানান, টিআরএলএমএস'র জন্য তারা নতুন এবং অভিনব এই কাজটি শিখতে পেরেছেন। আগামী দিনে তারা বাণিজ্যিক ভাবে আগরবাতি উৎপাদনের জন্য কাজ করবেন। তাদেরকে এই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য পশ্চিম জেলা প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিটিকে সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য সমাজ শক্তি সোসাইটি নামে একটি এনজিও এগিয়ে এসেছে। এই এনজিও টি আগরবাতি প্রশিক্ষণের জন্য মাস্টার ট্রেনারকে নিয়ে এসেছে বলে এনজিও এর পক্ষ থেকে জানান, দিলীপ সাহা নামে এক সদস্য। টি এল এম কর্তৃপক্ষ ধরনের কাজ তাদেরকে করার সুযোগ করে দেওয়ায় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান তিনি। 
নতুন নতুন প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে ত্রিপুরা গ্রামীণ জীবিকা মিশনের পশ্চিম জেলা অফিসের আধিকারিক থেকে শুরু করে সকল স্তরের কর্মীরা ইতিমধ্যে রাজ্যে আলাদা একটি নজির গড়তে সক্ষম হয়েছে। এই সকল আধিকারিক থেকে কর্মচারী সকলের কাজে খুশি তাদের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন স্ব সহায়ক দলের সদস্যরা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ