Advertisement

Responsive Advertisement

হাওড়া নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকা ঘুরে দেখলেন জেলা শাসক ডা বিশাল কুমার


আগরতলা, ৩০ মে : ভারী বৃষ্টির যারা রাজধানী আগরতলার উপর দিয়ে বয়ে চলা হাওরা নদীর পার্শ্ববর্তী শ্রীলংকা বস্তি বলদাখান ইত্যাদি বেশ কিছু নিচু এলাকায় নদীর জল প্রবেশ করেছে। এই এলাকাগুলো ঘুরে দেখলেন পশ্চিম জেলার জেলা শাসক ডা বিশাল কুমার। পরিস্থিতি দেখার পাশাপাশি তিনি এলাকার লোকজনদের সঙ্গে কথা বলে আশ্বস্ত করেন প্রশাসন দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
 বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার দুইদিন ধরে রাজ্য জুড়ে লাগাতর বৃষ্টির জেরে রাজধানী আগরতলার উপর দিয়ে বয়ে চলা হাওড়া নদী সহ রাজ্যের অন্যান্য প্রধান নদী যেমন গোমতী খোয়াই ধলাই, মনু দেও ইত্যাদির জল স্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। এর যেরে বন্যার ভ্রুকুটি দেখা দিচ্ছে। রাজধানী আগরতলার হাওড়া নদীর পার্শ্ববর্তী অপেক্ষাকৃত নিচু বেশ কিছু জায়গায় ইতিমধ্যে নদীর জল প্রবেশ করেছে। রাজধানী আগরতলার হাওড়া নদীর তিরবর্তী বলদাখাল পালপাড়া, শ্রীলংকা বস্তি এবং আশেপাশের এলাকায় জল ঢুকছে। এলাকার এক বাসিন্দা প্রদীপ পাল জানান গত বছর বন্যায় অনেক বেশী উঁচু এলাকা পর্যন্ত তলিয়ে যায়। তবে এবছর জলের বেগ অনেক কম রয়েছে। তবে আবহাওয়ার পূর্বভাস অনুসারে যদি বেশী বৃষ্টি হয় তবে ঘরে জল দাঁড়িয়ে যাবে, তখন ঘর ছেড়ে শিবির আশ্রয় নিতে হবে। 
এই পরিস্থিতিতে পশ্চিম জেলার জেলাশাসক ডা বিশাল কুমার হাওড়ার পার্শ্ববর্তী এলাকায় ঘুরে দেখেন স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাদেরকে আশ্বস্ত করেন দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য প্রশাসন এবং দুর্যোগ মোকাবেলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, পশ্চিম জেলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কোন এলাকা থেকে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর আসেনি। কিছু কিছু নিচু এলাকার লোকজন অপেক্ষাকৃত উঁচু জায়গা বা ঘরে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে তাদের বাড়িতে বড়সড়ো কোন ক্ষতি হয়নি। পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে আশ্রয় শিবির প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনীকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এস ডি আর'র বাহিনীকেও সতর্ক করে রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রশাসন প্রস্তুত বলেও জানান তিনি। এদিন জেলাশাসকের সঙ্গে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের আধিকারিক পিঙ্কি পাল সহ অন্যান্য আধিকারিকরাও ছিলেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ