Advertisement

Responsive Advertisement

জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য ব্লাড গ্রুপ তালিকা তৈরি করার জন্য ক্লাবগুলিকে আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীর

আগরতলা, ১৭ মে: রক্তের গ্রুপের তালিকা তৈরি রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যাতে প্রয়োজনের সময়ে মুমূর্ষু মানুষের রক্তের যোগান দেওয়া সম্ভব হয়। আর এই উদ্যোগের বাস্তবায়নে ক্লাবগুলিকেই বিশেষ ভূমিকা নিতে হবে। রাজ্যের ক্লাব ও সামাজিক সংস্থা গুলির উদ্দেশ্যে এই মানবিক আহ্বান রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। 
                            শুক্রবার আগরতলার রামনগরের রিয়াদুল জান্নাহ জামে মসজিদ এর উদ্যোগে আয়োজিত এক স্বেচ্ছা রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করে এই গুরুত্ব তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। 
                            অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা স্বেচ্ছা রক্তদানের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, আমাদের ক্লাব সংস্কৃতি রয়েছে। সামাজিক দায়বদ্ধতার সঙ্গে যুক্ত ক্লাবগুলির প্রয়োজন নিজের এলাকার লোকজন, ক্লাব সদস্য এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের রক্তের গ্রুপের তালিকা তৈরি রাখা, যাতে মানুষ সহজে রক্ত পেতে পারেন। আমাদের এখন ১১০০ এর অধিক রেজিস্ট্রি ক্লাব রয়েছে এবং তাদের অবশ্যই এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে এগিয়ে আসতে হবে। 
                             মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষ বিভিন্ন ধর্মের অনুসারী হতে পারেন। কিন্তু তাদের রক্তে কোন পার্থক্য নেই। বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য আমাদের পরম্পরা। ডাঃ সাহার কথায়, সামাজিক দায়িত্ব পালনের উদ্যোগকে সবাই প্রশংসা করবেন। জামে মসজিদ কর্তৃপক্ষ এধরণের রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সবসময় এক পৃথিবী, এক ভবিষ্যৎ, এক পরিবার ও বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের কথা বলেন। রামনগর জামে মসজিদ আয়োজিত এই রক্তদান শিবির আর অন্য জায়গায় আয়োজিত রক্তদান শিবিরের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। আমরা ভিন্ন ধর্মের হতে পারি, কিন্তু আমাদের রক্ত একই। রক্তদান থেকে এটা বলা যায় যে আমরা সবাই এক। 
                               মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সফলভাবে ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এই রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রীও প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবাকে আরো উন্নত করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন তিনি। এদিন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, রক্তের চারটি গ্রুপ রয়েছে এবং পজিটিভ ও নেগেটিভের পাশাপাশি আট ধরনের রক্ত রয়েছে।
                            ডাঃ সাহা বলেন, অপারেশনের সময়, রক্তশূন্যতা বা থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য রক্তের বিশেষ প্রয়োজন হয়। যদি ব্লাড ব্যাঙ্কে সঠিক ধরনের রক্ত পাওয়া যায় তবে তা এসকল রোগীদের জন্য উপকার হয়। আর যে ব্যক্তি রক্ত দিয়েছেন তারও আগামী দিনে রক্তের প্রয়োজন হতে পারে। আমাদের রাজ্যে এখন রক্তের শ্রেণী বিভাজন করা যায়। 
                             অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, বাংলাদেশ সহকারি হাই কমিশনের প্রথম সচিব মোহাম্মদ রেজাউল হক চৌধুরী সহ অন্যান্য অতিথিগণ। 
                         এই অনুষ্ঠানের পরে টেরেসা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আগরতলার উদ্যোগে আয়োজিত অপর একটি রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ