Advertisement

Responsive Advertisement

আন্তর্জাতিক জৈব বৈচিত্র দিবস উপলক্ষে আগরতলায় আলোচনা চক্র অনুষ্ঠিত

এই নিউজ এর ভিডিওর জন্য ক্লিক করুন লিংকে 👈
আগরতলা, ২২ মে : প্রতি বছর ২২ মে দিনটিকে আন্তর্জাতিক জৈব বৈচিত্র দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বুধবার ত্রিপুরা রাজ্যেও পালিত হল দিনটি। রাজ্য ভিত্তিক এই দিনটি ত্রিপুরা বায়োডাইভাসিটি বোর্ডের উদ্যোগে আগরতলায় এক আলোচনা চক্রের আয়োজন করা হয়। আলোচনা চক্রে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা বায়োডাইভাসিটি বোর্ডের সদস্য সচিব দীপা ডি নায়ার, ত্রিপুরা দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান ড. কে শশীকুমার, ত্রিপুরা কৃষি কলেজের অধ্যক্ষ ড. দেবাশীষ সেন। সেই সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বন দপ্তর, কৃষি দপ্তর ও আগরতলার বিভিন্ন কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা। 
আলোচনা চক্রে বক্তব্য রাগতে গিয়ে ত্রিপুরা বায়োডাইভাসিটি বোর্ডের সদস্য সচিব দীপা ডি নায়ার বলেন, বিশ্ব জোড়ে জৈব বৈচিত্র রক্ষা করার জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। ভারত বিশেষ করে ত্রিপুরা রাজ্যেও জৈব বৈচিত্র রক্ষা করার জন্য অনেক কাজ করা হচ্ছে। বিশেষ করে রাজ্যে প্রাকৃতিক ভাবে যে সব মূল্যবান গাছ রয়েছে তা রক্ষা ও সংরক্ষনের জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। 
ত্রিপুরা দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান ড. কে শশীকুমার বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের প্রকৃতি সম্পর্কে আরো বেশি করে জানা উচিত। এখন জৈব বৈচিত্র সম্পর্কে জানা কোন কঠিন বিষয় নয়, ইন্টারনেটে জৈব বৈচিত্র সম্পর্কে তথ্য সম্পর্কিত অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে। বর্তমান সময়ে আবহাওয়ার খেয়ালীপনার কারণে নষ্ট হচ্ছে। জৈব বৈচিত্র রক্ষার জন্য সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। 
ত্রিপুরা কৃষি কলেজের অধ্যক্ষ ড. দেবাশীষ সেন বলেন, পৃথিবী শুধুমাত্র মানুষের জন্য নয়, ডাইনোসর ও পৃথিবী থেকে একদিন হারিয়ে গিয়েছে। কই আছো তাই মানুষ যদি জৈব বৈচিত্র রক্ষা করে তবে পৃথিবীতে নিজেদের অস্তিত্ব অনেক অনেক বেশি দিন থাকবে। জৈব বৈচিত্র পাখি সাপ কীটপতঙ্গ থেকে শুরু করে অন্যান্য সকল প্রাণীর গুরুত্ব রয়েছে তাই তাদের রক্ষা করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। 
প্রথম পর্ব শেষে এদিন উপস্থিত অতিথিরা গাছের চারা রূপন করেন। দ্বিতীয় পর্বে বিশেষরা জৈব বৈচিত্র দিবস ও জৈব বৈচিত্র রক্ষার বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। 
 অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে জীববৈচিত্র বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা নানা বিষয়ে আলোচনা করেন। এই পর্বে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা আইন কলেজের সহকারী অধ্যাপক পার্থসারথি আদ্য, ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওলজি ডিপার্টমেন্টের সহকারী অধ্যাপক ড. অনিমেষ দে এবং ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা শাখার ড. কৌশিক মজুমদার। সবশেষে ধন্যবাদ সূচক বক্তব্য রাখেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কনজারভেটর অফ ফরেস্ট অনিমা দাস।
 এই কর্মসূচির পাশাপাশি রাজধানী আগরতলার  গুর্খা বস্তির এলাকার বনদপ্তরের প্রধান কার্যালয় অরণ্য ভুবন চত্বরে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের আয়োজন করা হয়। সেই সঙ্গে রাজ্যের প্রতিটি মহকুমাতেও আলোচনা চক্রসহ নানা সচেতনতামূলক কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ