Advertisement

Responsive Advertisement

সিপিএমের মূল লক্ষ্য ছিল মানুষকে বিভ্রান্ত করা এবং গরীব বানানো: মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ২৫ ফেব্রুয়ারি: সমাজের অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত সমস্ত ধরণের মৌলিক অধিকার পৌঁছে দিতে খুবই আন্তরিক বর্তমান সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দিকনির্দেশনায় কোনরকম দলবাজি ছাড়াই রাজ্যের সকল অংশের মানুষের কাছে বিভিন্ন সরকারি সুযোগ সুবিধা পৌঁছে যাচ্ছে। এর ফলে খুবই উপকৃত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এই সরকার সবসময় মানুষকে পাশে নিয়ে, মানুষকে সাথে নিয়ে চলতে চায়। ভারতীয় জনতা পার্টির সরকারের কাজের নিরিখে মানুষ এই সরকারের পাশে রয়েছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনেও রাজ্যের দুটি আসনে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীরা গতবারের চাইতেও অধিক মাত্রায় ভোটে জয়ী হবেন। 
                     রবিবার ৮নং টাউন বড়দোয়ালী মন্ডলের উদ্যোগে আগরতলার মুক্তধারা প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত লাভার্থী সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। 
                  সামনেই ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনের আর হাতে গোনা কিছুদিন বাকি মাত্র। আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন ঘোষণা না হলেও অনেক আগে থেকেই রাজ্যের গেরুয়া শিবির ভোট প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। এই কয়েক মাসে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে একাধিক সভা সমাবেশ মিটিং সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি সেরে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। 
                    এদিন লাভার্থী সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিগত ৩৫ বছর ধরে জনগণকে বঞ্চিত করছে কমিউনিস্ট পার্টি। তাদের দলের মূল এজেন্ডাই ছিল জনগণকে প্রতারিত করা। সিপিএমের অন্যতম লক্ষ্যই ছিল জনগণকে বিভ্রান্ত করা এবং গরীব রাখা। ডাঃ সাহা বলেন, এই সরকার মানুষের সামাজিক পেনশন বাড়িয়েছে। দেশে ত্রিপুরা একমাত্র রাজ্য যেখানে সরকার সামাজিক পেনশন হিসাবে ২ হাজার টাকা দেয়। গত ৩৫ বছর ধরে রাজ্য শাসন করেছে সিপিএম। অথচ তারা মানুষের জন্য কি করেছে? কিন্তু এই সরকার প্রকৃত অর্থে গরীবদের সরকার। কমিউনিস্টরা কখনই মানুষকে সম্মান করেনি। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল মানুষকে প্রতারিত করা। সেই সঙ্গে তাদের আরেকটি এজেন্ডা ছিল মানুষকে গরীব করে রাখা, যাতে তারা তাদের দলকে সমর্থন করে। যারা তাদের আদেশ মানেনি তাদের দমন পীড়ন বা নানাভাবে নির্যাতন করা হয়েছিল।
                    মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, বামেদের শাসনে ত্রিপুরায় অসংখ্য সহিংসতার ঘটনা প্রত্যক্ষ হয়েছে। মানুষ তাদের জীবন বাঁচাতে রাজ্য ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল। কিন্তু রাজ্যের বর্তমান সরকার এ ধরনের সংস্কৃতি সমর্থন করে না। সিপিএম নানাভাবে কারচুপির মাধ্যমে নির্বাচন পরিচালনা করত। সেই জায়গায় ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে একটিও সহিংস ঘটনা ঘটেনি রাজ্যে। কেউ ভাবতে পারে নি যে ত্রিপুরায় সহিংসতা ছাড়া নির্বাচন সম্ভব। কিন্তু এই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতকারের সময়ও আমি এই বিষয়টি তুলে ধরেছিলাম। এই রাজ্যের মানুষ আমাদের উপর আস্থা রেখেছে এবং সমর্থন করেছে। সিপিএম এবং কংগ্রেস উভয়ই তাদের উশৃঙ্খল আচরণের জন্য পরিচিত। এদিন বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধী সিপিএম কংগ্রেসের প্রবল সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। 
                            অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা আমার সরকার নামে একটি ওয়েব পোর্টালও চালু করেছি। যা মানুষ সাদরে বরণ করে নিয়েছে। মানুষ এই পোর্টালে ছবি সহ তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন। আমরা সকল অংশের মানুষের সমস্যার সমাধান করতে তাদের পাশে দাঁড়াতে চাই। প্রধানমন্ত্রী মোদীর দিক নির্দেশনায় আমরা কোনও রাজনৈতিক বাছ বিচার ছাড়াই মানুষের কাছে বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দিয়েছি। এতে মানুষ খুবই খুশি। মানুষের প্রতিক্রিয়া থেকে স্পষ্ট যে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির বিজয় সুনিশ্চিত।
 এদিন অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান এডভোকেট সমীর ঘোষ, বড়দোয়ালী মন্ডল সভাপতি সঞ্জয় সাহা সহ অন্যান্যরা। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ