আগরতলা, ৭ ফেব্রুয়ারী : উত্তরপূর্ব ভারতের মধ্যে অন্যতম এক সুন্দর রাজ্য হচ্ছে ত্রিপুরা। রাজ্যে পর্যটনে দারুন সম্ভাবনা থাকলেও দীর্ঘ বছর এই বিষয়টি উদাসীন ছিল। দেশ-বিদেশের পর্যটক আনার জন্য তেমন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। যার ফলে ব্যাপক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও রাজ্য ছিল পর্যটন বিমুখ। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর পর্যটনের বিকাশের ব্যাপক গুরুত্ব দিয়েছে। পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। পাশাপাশি নতুন নতুন পর্যটন কেন্দ্র খুঁজে বের করা হচ্ছে এবং এই পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকরা যাতে খুব সহজেই যেতে পারেন তার জন্য রাস্তাঘাট সহ পরিকাঠামোর উন্নয়ন করা হচ্ছে।
সেই সঙ্গে পর্যটন শিল্পের বিকাশে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলিকে গত অক্টোবর ২০২৩ রাজ্যের পর্যটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করা হয়েছে। এতে রাজ্যে পর্যটকের আগমন এবং রাজস্ব আয়ের পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরের অক্টোবর, নভেম্বর এবং ডিসেম্বর এই তিন মাসে রাজ্যে পর্যটক আগমন এবং পর্যটন দপ্তরের রাজস্ব আয়ের অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আক্টোবর, নভেম্বর এবং ডিসেম্বর এই তিন মাসে রাজ্যে মোট পর্যটক আগমন হয় ৮৪,২১৭ জন। এর মধ্যে বৈদেশিক পর্যটকের সংখ্যা ছিল ৫,৯৬৪ জন এবং রাজস্ব আদায় হয় ১,২,১০,০০০ টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই তিন মাসে রাজ্যে মোট পর্যটক আসে ১,৫৫,১৮৩ জন এর মধ্যে বৈদেশিক পর্যটক ছিল ১৯, ৬১৪ জন এবং এতে দপ্তরের রাজস্ব আদায় হয় ১,২৩,১৩,০০০ টাকা।
সেই সঙ্গে স্বদেশ দর্শন ১.০ প্রকল্পে সিপাহীজলা, উদয়পুর, ছবিমুড়া, নীরমহল, উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ, ডম্বুর লেক, জম্পুই পাহাড় এবং ঊনকোটির পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। এজন্য ব্যয় হবে ৯১.৬৬ কোটি টাকা। প্রসাদ প্রকল্পে উদয়পুরে মাতা ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরের উন্নয়নের কাজ এগিয়ে চলছে। এজন্য ব্যয় হবে ৩৭.৮০ কোটি টাকা।
পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে আকষর্ণীয় করে তোলার জন্য পর্যটন দপ্তর ডম্বুর লেক, ছবিমুড়া ও জম্পুই হিলসে প্যারা মোটরিং, প্যারা-গ্লাইডিং, ওয়াটার স্কুটার, ওয়াটার স্কি, জরবিং, ব্যানানা বোট, হট এয়ার বেলুনের মত অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম চালু করেছে।
রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির বিকাশে ও দেশাত্মবোধ চেতনা জাগ্রত করতে বর্তমান সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এই প্রথমবার অডিশনের মাধ্যমে নবীন শিল্পীদের প্যানেল তৈরি করা হয়েছে। আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের অঙ্গ হিসেবে সারা রাজ্যে উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে '৭৫ সীমান্ত গ্রাম ক্রান্তি বীরো কে নাম', 'মেরি মাটি মেরা দেশ' ও 'হর ঘর তিরঙ্গা' কর্মসূচি উদযাপিত হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ