আগরতলা, ১২ডিসেম্বর: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি পাঠালো ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চা। আগে মহিলাদের একা হজে যাওয়া নিষিদ্ধ ছিল, মহিলাদের হজে যেতে হলে সঙ্গে একজন পুরুষ নিতে হতো। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষনা দিয়েছেন এখন থেকে ইচ্ছে করলে মহিলারা একাই হজে যেতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে উচ্ছ্বসিত দেশের মুসলিম সমাজ, বিশেষ করে মহিলারা। পাশাপাশি দেশ থেকে মৌখিক তালাক প্রথা বিলুপ্ত করা এবং মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণের সিদ্ধান্তের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানালো বিজেপি সংখ্যালঘু মোর্চা। এই সকল সিদ্ধান্তের জন্য মঙ্গলবার বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার উদ্যোগে আগরতলায় এক ধন্যবাদ রেলি ও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ পত্র পাঠানো হয়। এদিনের এই রেলিটি রাজধানীর মেলার মাঠ এলাকার হজ ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন রাস্তা পরিক্রমা করে এবং সবশেষে পশ্চিম জেলার জেলা শাসকের অফিসের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখান থেকে এক প্রতিনিধি দল জেলা শাসকের অফিসে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে পাঠানো চিঠিটি তুলে দেন। এদিনের এই কর্মসূচিতে সংখ্যালঘু মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
রেলিতে পা মেলান ত্রিপুরা রাজ্য সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি শাহ আলম, বিধায়িকা মিনা রানি সরকার, সদর শহর জেলা সভাপতি অসীম ভট্টাচার্যসহ অন্যান্যরা।
এদিনের কর্মসূচি সম্পর্কে সদর শহর জেলা কমিটির সভাপতি অসীম ভট্টাচার্য বলেন, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির দায়িত্ব নেওয়ার পর মানুষের কল্যাণে একের পর এক কাজ করছেন। দল মত নির্বিশেষে তিনি সমাজের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর কাজগুলির মধ্যে অন্যতম কয়েকটি কাজ হল মৌখিক তালাক প্রথা বিলুপ্ত করা এবং মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত, সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের মহিলাদের একা হজে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া। তিনি একের পর এক জনকল্যাণকামী কাজ করে যাচ্ছেন। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে তিনি আবার দেশের সকল স্তরের মানুষের ভোটে বিপুলভাবে জয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। একইভাবে আগামী দিনেও মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাবেন। সংখ্যালঘ বংশের মানুষদের জন্য একের পর এক উন্নয়নকামী সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণেই এদিন তাকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে সংখ্যালঘু মোর্চার তরফে।
0 মন্তব্যসমূহ