Advertisement

Responsive Advertisement

আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনের উদ্যোগে “শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস” পালিত

আগরতলা, ১৪ ডিসেম্বর : আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার অফিস প্রাঙ্গণে যথাযোগ্য মর্যাদায় "শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস" পালন করা হয়।
এক মিনিট নিরবতা পালনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর এই দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেরিত লিখিত বাণী পাঠ করা হয়। এই দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান মো: রেজাউল হক চৌধুরী। পরবর্তীতে আলোচনা করেন আগরতলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি জয়ন্ত ভট্টাচার্য, বিশিষ্ট সাংবাদিক অমিত ভৌমিক, বাংলাদেশ থেকে আগত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আওয়াল মিয়া অংশ নেন। সমাপনী বক্তব্য রাখেন মিশনের সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মাদ, সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মাদ তার বক্তব্যে গভীর শ্রদ্ধার সহিত স্মরণ করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ই আগস্টের সকল শহীদকে। তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, আজ শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কময় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিনগুলোতে অর্থাৎ চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে পাক হানাদার বাহিনী, বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি ও তাদের দোসররা পরাজয় নিশ্চিত জেনে বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে পরিকল্পিতভাবে দেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক এবং শিল্পীসহ বহু গুণীজনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। তিনি তার বক্তব্যে জাতির সূর্যসন্তান শহিদ বুদ্ধিজীবীদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করেন এবং শহিদ পরিবারের শোকসন্তপ্ত সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
তিনি আরোও উল্লেখ করেন, দেশের খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবীদের নির্মম হত্যাকান্ড ছিল জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। শহিদ বুদ্ধিজীবীদের রেখে যাওয়া আদর্শ ও পথকে অনুসরণ করে একটি অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে পারলেই তাঁদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে বলে তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন উপলক্ষে ত্রিপুরার সাংবাদিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, সিভিল সোসাইটির গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং আগরতলা মিশনে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা ও সঞ্চালনা করেন এই মিশনের প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান মোঃ রেজাউল হক চৌধুরী।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ