Advertisement

Responsive Advertisement

আগরতলার তাপমাত্রা পৌঁছলো ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে

আগরতলা, ১১ এপ্রিল: তীব্র গরমে পুড়ছে গোটা রাজ্য। ইতিমধ্যে তাপমাত্রার পারদ ছুঁয়েছে ৩৮ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘর, আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস এই সপ্তাহেই পারদ চল্লিশের ঘর ছুঁইছুঁই করবে। এই পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ জল এবং লেবুর শরবত পান করার পরামর্শ দিলেন রাজ্যের বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাক্তার সুশান্ত রায়।
ঋতুচক্রের নিয়মে এখন চলছে বসন্ত। প্রচন্ড শুষ্ক ও তাপদাহে গ্রীষ্ম ঋতু আসতে আরো কিছুদিন বাকি রয়েছে। কিন্তু ইতিমধ্যে রাজ্য জুড়ে গ্রীষ্মের দাবদাহ শুরু হয়ে গিয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুসারে ইতিমধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ পৌঁছে গিয়েছে ৩৭ডিগ্রি সেন্টিগ্রেটে। পূর্বাভাস বলছে তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ উর্ধ্বমুখী তাই আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তা আরো ২ ডিগ্রি উপরে ৩৯ডিগ্রি সেন্টিগ্রেটে পৌঁছাবে। আগামী বৃহস্পতিবার এর মধ্যে তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রির ঘরে পৌঁছাবে বলেও পূর্বাভাস। এই অবস্থাকে আরও দুর্বিসহ করে তুলেছে বৃষ্টি না হওয়ার জন্য। প্রবল সূর্যের তাপ এবং বৃষ্টি না হওয়ার কারণে হাঁসফাঁস গরম সাধারণ মানুষদের নাজেহাল করে তুলেছে। যদি এর মধ্যে বৃষ্টি না হয় তাহলে মানুষের অবস্থা দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।
এই পরিস্থিতিতে কোন আশার বাণী শোনাতে পারছে না আবহাওয়া দপ্তর। আগামী শনিবার পর্যন্ত রাজ্যে কোন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই বলেও আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আগামী দিনে মানুষের ঘরে থাকাই কষ্টকর হয়ে উঠবে।
হাঁসফাঁস গরমের কারণে বেলা দশটা বাজতেই বেশিরভাগ এলাকায় রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যায়। তবে রাজধানীর চৈত্র সেলের বাজারে গেলে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। অন্য জায়গাগুলোতে নেহাত প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হতে চাইছেন না। আর যারা বের হচ্ছেন তারা টুপি ছাতা ইত্যাদি হাতে নিয়ে বের হচ্ছেন। এই গরমে সাধারণ মানুষ নাজেহাল হলেও খুশি ঠান্ডা পানীয়, শরবত এবং ডাব বিক্রেতারা। কারণ গরমের হাত থেকে রক্ষা পেতে এইসব ঠান্ডা পানীয়ই তাদের একমাত্র ভরসা। রাজধানী আগরতলার বিভিন্ন জায়গায় ফুটপাতে বিক্রেতারা ডাব নিয়ে বসেছেন। ন্যূনতম ৩০টাকা থেকে শুরু করে ৬০ এমনকি ৭০টাকা করে বিক্রি হচ্ছে এক একটি ডাব। ডাব বিক্রেতারার নিজেরাই জানান তীব্র গরমের কারণে ডাবের বিক্রি কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। বিক্রেতারা চাহিদা বেশি তবে দামও সামান্য বেশি। ডাব কিনতে আশা ক্রেতাদের বক্তব্য সুযোগ বুঝে অনেক বেশি দাম রাখছেন বিক্রেতারা। তারপরেও বাধ্য হয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে এইসব ঠান্ডা পানীয় কারণ গরমের হাত থেকে রক্ষা পেতে এগুলোই এখন একমাত্র ভরসা।
তীব্র গরমের কারণে সানস্ট্রোকের প্রবণতা অনেক বেড়ে যায়, তাই এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সুশান্ত রায়ের পরামর্শ যতটুকু সম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলার। আর যদি জরুরী প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হতে হয় তাহলে অবশ্যই সঙ্গে ছাতা ও জলের বোতল সঙ্গে রাখতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করতে হবে। সারা শরীর ঢেকে থাকে এমন কাপড় পরতে হবে। চোখে সানগ্লাস এবং মুখে মাস্ক ব্যবহার করা অবশ্যই জরুরী। নিয়মিত জল অথবা লেবুর শরবত পান করতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে। সেই সঙ্গে বেশি পরিমাণে সবজি খাওয়া এবং আমিষ জাতিও যতদূর সম্ভব এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন।  

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ