আগরতলা, ১৮ সেপ্টেম্বর: প্রতিবছর ১৮ সেপ্টেম্বর দিনটিকে বিশ্ব বাঁশ দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। অন্যান্য দেশের সঙ্গে বৃহস্পতিবার আগরতলাতেও এই দিনটি উদযাপন করা হয়। রাজধানীর প্রজ্ঞা ভবনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের বন দপ্তরের মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা, শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের মন্ত্রী সান্তনা চাকমা, শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের প্রতি মন্ত্রী বৃষকেতু দেববর্মা, পি সি সি এফ প্রবীণ আগরওয়াল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের বক্তব্য রাখতে গিয়ে বনমন্ত্রী দপ্তরের মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা বলেন, বিশ্ব বাঁশ দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো ত্রিপুরা রাজ্যে বাঁশের উৎপাদন কে কি করে আরো বাড়ানো যায় এবং বাণিজ্যিক ব্যবহারের দিকে আরো বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। আরো বলেন ভারতে বছরে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা বাঁশের ব্যবসার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন। মন্ত্রী আরো বলেন রাজ্যের পাহাড়ে আগে আরো বেশি পরিমাণে বাঁশ ছিল, এই বাঁশের জঙ্গলকে কেটে সাল সেগুনের জঙ্গল লাগানো হয়েছে। তখন এর গুরুত্ব অনুধাবন না করতে পারলেও বাঁশগুলো কেটে ফেলার ফলে কি আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে এখন তা অনুধাবন করা সম্ভব হচ্ছে। মন্ত্রী আরও জানান কিছুদিন আগে তিনি লাক্ষা দ্বীপ ভ্রমণে গিয়েছিলেন সেখানে সবচেয়ে বেশি যে দামি রিসোর্ট রয়েছে এই রিসোর্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে দেশের অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা রাত্রি যাপন করেন। সেই রিপোর্টটি সাজানো হয়েছে রাজ্যের বাঁশ দিয়ে। একতা রিসোর্টের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন বলে জানান মন্ত্রী। দেশ-বিদেশে রাজ্যের বাসের চাহিদার কথা বিবেচনা করে আরো বেশি বাঁশ চাষে এগিয়ে আসতে হবে। চীন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বাঁশ রপ্তানিকারক দেশ হলেও ত্রিপুরা রাজ্যের বাঁশের গুণগত মান অনেক ভালো এবং বিভিন্ন প্রজাতির বাস পাওয়া যায় বলেও জানান তিনি। অপরদিকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী সান্তনা চাকমা বলেন, আমাদের জীবনে বাঁশ ব্যাপক ভাবে জড়িত। নানা কাজে আমরা বাঁশ ব্যবহার করে থাকি। বাঁশের বাণিজ্যিক বিষয়টির গুরুত্ব আরো বেশি করে আমাদেরকে দিতে হবে তাহলেই আর্থিক ভাবে লাভবান হবা আমরা।
ত্রিপুরা রাজ্যের প্রায় ২ লাখ পরিবার প্রত্যক্ষ এবং অপ্রত্যক্ষ ভাবে বাসার সামনে জড়িত হয়ে তাদের জীবন নির্বাহ করছেন বলে জানানো হয়। এদিনের এই কর্মসূচিতে বাঁশ চাষ এবং বাঁশ শিল্পের সঙ্গে জড়িত শিল্পীরা অংশ নিয়ে ছিলেন।
0 মন্তব্যসমূহ