Advertisement

Responsive Advertisement

এআরসি পদ্ধতিতে আলু চাষ বিষয়ক বৈঠক অনুষ্ঠিত নাগীছড়ায়



আগরতলা, ২৯ অক্টোবর: এআরসি প্রযুক্তিতে আলু চাষ বিষয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হল আগরতলার পার্শ্ববর্তী নাগীছড়া এলাকার স্টেট হর্টিকালচার রিসার্চ স্টেশনে। এদিনের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উদ্যান ও মৃত্তিকা দপ্তরের ডিরেক্টর দীপক কুমার দাস, স্টেট হর্টিকালচার রিসার্চ স্টেশনের প্রধান ড. রাজীব ঘোষ, পেরুর আন্তর্জাতিক আলু গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানী ড. কল্পনা শর্মাসহ এ আর সি পদ্ধতিতে আলু চাষের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকরা। মূলত আগামী রবি মরসুমে এই পদ্ধতিতে আলু চাষের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। বৈঠক শেষে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন ড. রাজীব ঘোষ। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আলু গবেষণা কেন্দ্রের কেনিয়া অফিসের সিনিয়র সায়েন্টি ড. কল্পনা শর্মার উপস্থিতিতে বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আগামী কিছুদিন পর রাজ্যে আলু চাষের মরশুম আসছে। গত দুই বছর এআরসি পদ্ধতিতে আলু চাষ করে রাজ্যের দারুণ সাফল্য এসেছে, এই ফলাফলের প্রেক্ষিতে আরো ব্যাপকভাবে আলু চাষ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রথম বছর এআরসি পদ্ধতিতে আলু চাষ করার জন্য মাত্র ১০০ জন চাষীকে বেছে নেওয়া হয়েছিল, দ্বিতীয় বছরের ৪০০ জন চাষীকে এই পদ্ধতিতে আলু চাষ করার জন্য নির্ধারণ করা হয়। এই সাফল্যের প্রেক্ষিতে এবছর প্রায় পাঁচ হাজার কৃষককে এআরসি পদ্ধতিতে আলু চাষ করানোর জন্য সহযোগিতা করা হবে। সব মিলিয়ে বিশাল এক কর্মযজ্ঞ করা হবে। মূলত তিনটি প্রীতক পৃথক সংস্থা এই কাজে এগিয়ে এসেছে। এরমধ্যে রয়েছে ত্রিপুরা ওয়াটার শেড ডেভলপমেন্ট এজেন্সি। তারা প্রায় প্রায় ৯শত তাদের এলাকায় আলু চাষের জন্য প্রস্তুত করছেন। আরকেভিআই এই কাজ করছে। মূলত এআরসি পদ্ধতিতে রাজ্যে আলু চাষের জন্য এটি হচ্ছে মূল সংস্থা, তারা প্রায় চার হাজার কৃষককে এবছর এই পদ্ধতিতে আলু চাষ করার জন্য সহযোগিতা করবেন। পাশাপাশি জৈবিক কৃষি কাজের সঙ্গে যুক্ত এমওভিডিসিআর উত্তর-পূর্বাঞ্চলও এআরসি পদ্ধতিতে আলু চাষে এগিয়ে এসেছে। তাই সবকটি সংস্থা থেকে আধিকারিকরা এদিন বৈঠকে শামিল হয়েছিলেন। সকলে মিলে কি করে এই প্রকল্পটিকে এবারও সফল করা যায় তার বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে বলে জানান। পাশাপাশি তিনি আরো বলেন আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে চাষের জন্য আলু মাঠে পৌঁছে যাবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ