আগরতলা, ২১ সেপ্টেম্বর: রাজ্যে আলু চাষের পরিমাণ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে বিশেষ উদ্যোগ নিল সরকার। রাজ্য সরকারের কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে , আলু চাষে আরও উন্নয়ন এবং আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে এবার আলাদা দুই শ্রেণির কৃষক তালিকা তৈরি করা হবে। এই উদ্যোগের লক্ষ্য শুধুমাত্র চাষির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি নয়, বরং আধুনিক প্রযুক্তি এবং উন্নত জাতের আলু চাষে রাজ্যের কৃষকদের প্রস্তুত করা।
এইবারের প্রকল্প অনুযায়ী, আলু চাষের জন্য দুটি ভিন্ন ধরণের সুবিধা দেওয়া হবে। এক দিকে রয়েছে এ আর সি জাত বীজ আলু ব্যবহারকারী কৃষকরা। তারা এ আর সি -এর উন্নত জাতের বীজ ব্যবহার করে চাষাবাদ করবেন। অন্য দিকে রয়েছে এ আর সি চারা ব্যবহারকারী কৃষকরা, যারা আলু চাষে সরাসরি চারা ব্যবহার করবেন। নির্দেশিকায় বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, চারা পাওয়া কৃষকরা বীজ পাবেন না এবং বীজ প্রাপ্ত কৃষকরা চারা পাবেন না।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো, চারা বিতরণ প্রাপ্ত কৃষকরা অবশ্যই দক্ষ, উদ্ভাবনী এবং অগ্রগামী প্রকৃতির হতে হবে। সরকারি সূত্রে জানা গেছে, এই ধরনের কৃষকদের নির্বাচন করার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র তাদের চাষের দক্ষতা এবং নতুন প্রযুক্তি গ্রহণের মনোভাবই মাপকাঠি হবে।
উদ্যোগটি রাজ্যের সমস্ত জেলার কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হবে এবং উভয় শ্রেণির কৃষক মিলিয়ে মোট সংখ্যা ৪,০০০ জনের বেশি হবে। এটি নিশ্চিত করবে যে, প্রকল্পটি যথাযথভাবে পরিচালিত হচ্ছে এবং সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার হচ্ছে।
কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে ত্রিপুরায় আলুর উৎপাদন অনেক বেশি হবে এবং চাষিরা লাভবান হবেন আধুনিক চাষ প্রযুক্তি ও উন্নত জাতের আলুর মাধ্যমে। পাশাপাশি, রাজ্যের কৃষি খাত আরও পরিকল্পিত ও সংগঠিত হবে।
নির্বাচিত কৃষকদের নাম ঘোষণা এবং চারা ও বীজ বিতরণের জন্য সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে। তবে আশা করা হচ্ছে, এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন ত্রিপুরার কৃষি খাতের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে
0 মন্তব্যসমূহ