Advertisement

Responsive Advertisement

পশ্চিম বড়জলা ভিসি এলাকায় রামবুটান চারা বিতরণ ও রোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত


আগরতলা, ২৪ সেপ্টেম্বর : মাত্র ২ বছর হয়েছে রাজ্যের রামবুটান চাষ শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই জৈব পদ্ধতিতে বাণিজ্যিক ভাবে দামি এই ফলটি চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ত্রিপুরা স্টেট অর্গানিক ফায়ার্মিং ডেভেলপমেন্ট এজেন্সী। এই এজেন্সির ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজীব দেববর্মা একথা জানিয়েছেন। এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে বুধবার জিরানিয়া কৃষি মহকুমায় এই ফল গাছের চারা বিতরণ করা হয়। এদিনের কর্মসূচিতে রাজীব দেববর্মার পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জিরানিয়া কৃষি মহকুমার কৃষি তত্ত্বাবধায়ক সৌমেন দাস, অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পিঙ্কু বাসাল দেববর্মা সহ অন্যান্য কৃষি অধিকারী ও স্থানীয় এলাকার লোকজন। এদিন উপস্থিত আধিকারিকরা গাছের চারা রোপন করেন। 
গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন ও কৃষি বৈচিত্র্যকে আরও সমৃদ্ধ করতে পশ্চিম বড়জলা ভিসি এলাকায় বুধবার রাম্বুটান চারা বিতরণ ও রোপণ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। এই কর্মসূচির মাধ্যমে স্থানীয় কৃষকরা উন্নতমানের তুলামুল দামী ফলের গাছ হাতে পান, যা আগামী দিনে তাদের আর্থিক স্বনির্ভরতা গড়ে তুলতে সহায়ক হবে। 
পশ্চিম বড়জলা এলাকায় রামবুটান কলমজাত এন এইচ -১৮ জাতের চারা বিতরণ করা হয়। এখানে ৩ জন সুবিধাভোগীর মধ্যে মোট ৪৫টি চারা প্রদান করা হয়। পাশাপাশি বিশেষ আমের কলমজাত ২০টি চারা এক সুবিধাভোগীকে দেওয়া হয়।
সেই সঙ্গে বিশ্রামবাড়ি গ্রামে একজন সুবিধাভোগীকে মোট ১৫টি রামবুটান কলমজাত চারা দেওয়া হয়। অন্যদিকে, পশ্চিম দেবেন্দ্রনগর এলাকায় সবচেয়ে বড় আকারে বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয় এদিন। এখানে বিভিন্ন জাতের বিশেষ আমের কলমজাত চারা যেমন— মিয়াজাকি, কাটিমন, চাকাপট, চিয়ানমাই, বনানা এবং অরুণিকা প্রদান করা হয়েছে। এই এলাকায় মোট ২৯৫টি চারা বিতরণ করা হয়। এই পুরো কর্মসূচির পেছনে মোট ব্যয় হয়েছে ১,২৮,৫০০ টাকা।
এই ধরনের উন্নত মানের ফলজ চারা রোপণ করলে ভবিষ্যতে স্থানীয় কৃষকরা শুধু নিজেদের চাহিদা পূরণই করবেন না, বরং বাণিজ্যিকভাবেও লাভবান হবেন। রামবুটান ও বিশেষ জাতের আম বাজারে উচ্চমূল্যে বিক্রি হওয়ায় কৃষকেরা আরও বেশি উৎসাহিত হবেন।
ফলে পশ্চিম বড়জলা ভিসি এলাকায় এই চারা বিতরণ কর্মসূচি শুধু কৃষকের স্বপ্নকে শুধু ডানা মেলতে সাহায্য করছে না, বরং গ্রামীণ অর্থনীতিকে এক নতুন দিশা দেখাচ্ছে। মূলত অর্গানিক পদ্ধতিতে ফল চাষের জন্য মিশন অর্গানিক ভ্যালু চেইন ডেভেলপমেন্ট ফর নর্থ ইস্টার্ন রিজিওনের সহায়তায় এই ছাড়াগুলো বিতরণ করা হয় হলে জানিয়েছেন ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজীব দেববর্মা। 
 এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে রাজধানী আগরতলার পার্শ্ববর্তী নাগিছড়া এলাকার উদ্যান এবং বাগিচা ফসল গবেষণা কেন্দ্র'র প্রধান ড. রাজীব ঘোষ প্রথম ভিন রাজ্য থেকে রামবুটান গবেষণা কেন্দ্রে নিয়ে আসেন। এবছর গবেষণা কেন্দ্রের গাছে প্রচুর পরিমাণে এর ফলন হয়েছে। এই ফলন দেখে উৎসাহিত দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ থেকে শুরু করে সাধারণ চাষী সকলের। এর প্রেক্ষিতে রাজ্যের রাম্বুটান চাষের উৎসাহ বৃদ্ধি পায়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ